সংক্রামিত এক একাকিত্তের প্রান্তে দাঁড়িয়ে!
আপন আকাশের চাঁদ,এখন আর আমার নামে জোৎস্নার টিকিট বিলি করেনা,
সুখস্বপ্ন বরাবরি বিপরীত মেরু
মরীচিকার মত সরে সরে যায়
আমার বন্ধু নীল,প্রশ্ন করেছিল
কেন! জীবন নিয়ে খেলতে যাচ্ছ
এলোমেলো অগোছালো খেলা?
অল্প হেসে বলেছিলাম, বড়ই নেশাগ্রস্ত আমি!
প্রেম আমার শিরায় শিরায়
তুমি কি করে বুঝবে নীল
যে মেঘ, থমথম করছে মাথার উপর
কাল পর্যন্ত ছিল স্নিগ্ধ শিশির।
আমি আজ চাঁদ চিনিনা,আর না জোৎস্না
এক ছোট প্রদীপ জ্বেলে ঘরে,
আপন জোনাকির অপেক্ষায়
মাঝে মাঝে, কলম ফেলে নারী হয়ে উঠি
দুমড়ে মুচড়ে যখন ভিতর টা বড়ই ক্লান্ত,
তখন অহংকার গ্রাস করে,কলমের
মালিক বলে নিজেকে দাবী করি,
আঁচড়ে আঁচড়ে কাটি নিকৃষ্ট আবেগের দাগ,
মুখ থুবড়ে পড়ে থাকা,কালরাতের
বাসি ভাতের মত পাতিলের তলায়
পড়ে থাকা কিছু সংলাপ,
জানো তো! কষ্ট না পুষলে কবিতা হয়না,
আমার আবার প্রেমশব্দ বেশিদিন পেটে সয় না,
অবাক প্রত্যাবর্তন এর সুর ধরে
ফিরেফিরে পুনর্জন্ম নেই আমার কবিতা।
– জেনিফার ইসলাম স্মৃতি